রোজ রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ভোর ৫:৪৩


					
				
স্বেচ্ছায় করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন/সৎকার করার মহান কাজ করে যাচ্ছেন ফয়সালের টিম

স্বেচ্ছায় করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন/সৎকার করার মহান কাজ করে যাচ্ছেন ফয়সালের টিম

কাজী সাইফুল: মৃত্যু অবধারিত! তা যে কারোর যে কোনো সময় যে কোনো ভাবে ঘটে যেতে পারে। মৃত ব্যক্তির দেহ দাফন/সৎকার করা অতি জরুরী একটি বিষয়। এ কাজটি যে কেহ ইচ্ছে করলেই করতে পারে না। এতে প্রয়োজন হয় সদিচ্ছা, সাহস ও একাগ্রতার যা সকলের থাকে না। আর সে মরদেহ যদি হয় কোনো সংক্রামক রোগে মৃত ব্যক্তির তাহলে আরও জটিলতা দেখা দেয়।

বর্তমানে বিশজুড়ে করোনা ভাইরাস (Covid-19) একটি আতংকের নাম। এই করোনা আক্রান্ত হয়ে কেহ মারা গেলে, নিজ আত্মীয়-স্বজন এমনকি সন্তানরা পর্যন্ত স্পর্শ করতে আতংক বোধ করে। অনেক সময় দেখা যায় প্রশাসনের লোকজন শেষপর্যন্ত মরদেহের দাফন/সৎকার করে থাকে।

এমন সংকটকালে বরিশালে একটি টিম করোনা সংক্রমনে মৃত ব্যক্তির দাফন/সৎকারে কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে। শুধু করোনা সংক্রমন নয় তাঁরা সব ধরণের মরদেহ দাফন/সৎকারের যাবতীয় কার্য করে থাকেন। যদি কারো সামর্থ না থাকে তবে তাঁরা মরদেহ দাফন/সৎকারের আনুসঙ্গিক খরচ সংগ্রহ করে দাফন/সৎকার কার্য সম্পন্ন করে থাকেন।

এই টিমের প্রধান মোঃ ফয়সাল আহমেদ, পিতা- মরহুম মোঃ আবুল কাশেম (বীর মুক্তিযোদ্ধা), ২৯ নং ওয়ার্ড, ইছাকাঠী, কাশীপুর, বরিশাল, মোবাইল নম্বর- ০১৭১৫-৭৯৯৮৮০।

মোঃ ফয়সাল আহমেদের সাথে এই বিষয় কথা হয়। তিনি বলেন, মৃতদেহ দাফন করা একটি অত্যাবশকীয় কাজ। এর জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো না জানলে ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। তাছাড়া অনেকে মৃত ব্যক্তির কাছে যেতে ভয়ও পায়। এই কারণে আমরা একটি ১৫/২০ সদস্যের একটি টিম পরিচালনা করছি যারা দাফন/সৎকার কাজ করে থাকে। বিশেষ করে করোনা সংক্রমনে মৃত ব্যাক্তির দাফন/সৎকার নিয়ে বেশি জটিলতার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় তার অতি নিকটতম আত্মীয়-স্বজন এমন কি সন্তানরাও মরদেহের কাছে আসতে চায় না। তাই আমরা স্বেচ্ছায় কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই করোনা সংক্রমনে মৃত ব্যক্তির দাফন/সৎকার করে থাকি। করোন সংক্রমণ ছাড়াও সকল ধরণের মরদেহ দাফন/সৎকার কার্য করে যাচ্ছি। যদি কারও দাফন কার্যের আর্থিক সংগতি না থাকে তাহলে আমরা অর্থ সংগ্রহ করে কার্য সমাধান করতে চেষ্টা করি।

করোনা সংক্রমনে মৃত ব্যক্তির দাফন সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের অনুমোদনে সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রয়োজন হলে, প্রশাসন আমাদের ফোন দিলে আমরা সেখানে পৌঁছে গিয়ে মরদেহ বুঝে নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু দাফন কার্যই করি না। বিভিন্ন দূর্যোগে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন জায়গা হতে সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকি।

তিনি তাঁদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দাফন কার্যে কারও প্রয়োজন হলে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮

Md Saiful Islam